সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অ্যামিগো নোনি

অ্যামিগো নোনি  

500 ml / Rs. 599
DP. 450 




অ্যামিগো নোনি একটি সম্পূ্র্ণ স্বাস্থ্যকর পানীয়। এটি তৈরী হয়েছে মোরিন্ডা সাইট্রিফোলিয়া বা নোনি নামক একটি অতি উপকারী ফল থেকে। এছাড়াও এতে রয়েছে আরো কিছু প্রাকৃতিক, শক্তিশালী ও উপকারী ভারতীয় হার্বস। প্রত্যেক ১০০ মি.লি. অ্যামিগো নোনিতে নিমোক্ত উপাদান রয়েছে - 

বিগত কয়েক দশক ধরে আমরা প্রায় সকলেই নোনির উপকারিতা প্রত্যক্ষ করেছি। মোরিন্ডা সাইট্রিফোলিয় বা নোনি বরাবর একটি স্বাস্থ্যরক্ষাকারী ও রোগবিনাশকারী ফল হিসেবে গণ্য হয়ে এসেছে।

শরীরের অনেক জটিল রোগে নোনি দারুন কাজ দেয়। কি আছে সেই তালিকায় ? ডায়াবেটিস কমানো থেকে হজম শক্তি বাড়ানো সর্দি-কাশি কমাতে সহায়তা করে- এছাড়াও নোনি, আর্থারাইটিস ও অ্যাস্থমা রোগ দূর করে - হার্টের যেকোনো রোগ দূরীকরনে দারুন কাজ দেয় - কোলেস্টেরল কমাতে সাহাওয্য করে ও ত্বকের যত্ন নেয় এই অ্যামিগো নোনি, পাশ্চাত্য দেশগুলিতে ডাক্তাররা তাদের রোগীদের ওষুধের সাথে এই নোনি ব্যবহার করবার উপদেশ দিয়ে থাকেন। চিকিৎসা জগতে নোনি হল একটি ‘প্রোজেরোনাইন’ নামক একটি উৎসেচক এর উৎস, যেটি মানবদেহে নতুন কোষগঠনে সাহায্য করে ও কোষে পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে। প্রমাণিত হয়েছে, নোনি-তে অ্যাডাপ্টোজেন ধর্ম আছে, এছাড়াও অ্যাল্কালাইন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যানালজেসিক ও অ্যান্টিঅ্যালার্জিক হিসেবেও নোনির অবদান অনস্বীকার্য।

(অ্যাডাপ্টোজেন - মানবদেহে এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা আমাদের শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ সঞ্চালন করতে সহায়তা করে।) 

নোনির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ( খাওয়ার পর সুগার লেভেল বেড়ে যাবার প্রবনতা ) কম। এছাড়াও নোনি হল হিউম্যাকট্যান্ট (ত্বকে ময়শ্চরাইজারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে)।

শরীরে যথাযথ বিপাক ক্রিয়া হবার ফলেই কিন্তু শরীর স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারে।আমাদের শরীরে সেই বিপাক ক্রিয়া সম্পাদন হওয়ার জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় গ্যাসীয় মোলিকিউল বাইরে থেকে যোগান দিতে হয়। নাইট্রিক অক্সািইড - হল সেই গ্যাসীয় মোলিকিউল। নোনি এই নাইট্রিক অক্সাইড যোগানে সহায়তা করে। নাইট্রিক অক্সাইড-এর এইসব গুণাগুন আমাদের সকলের সামনে তুলে ধরবার জন্য আমেরিকার তিনজন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন। পিত্রাশিস নোনি কিভাবে আপনাকে সুস্থ রাখবে ? 

  1. নোনি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে, পরিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে, সাহায্য করে। এছাড়া চূলপড়া কমাতে ও ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে নোনি খুবই উপকারী।
  2. নোনি একটি শক্তিশালী ডিটক্সিফায়ার। আমাদের রোজকার খাদ্যাভাসে যে জল আমরা পান করি অথবা পারিপার্শ্বীয় বাতাসে প্রচুর পরিমানে ক্ষতিকারক টক্সিন থাকে যা মানবদেহের ক্ষতিসাধন করে।নোনির দৈনন্দিন ব্যবহার সেই টক্সিন দূরীকরণে সাহায্য করে ও আমাদের শরীরকে সুস্থসবল এবং তরতাজা রাখে।
  3. আমরা যে ওষুধ খেয়ে থাকি, তার পার্শপ্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা করতে অ্যামিগো নোনি আমাদের সাহায্য করে। আজকাল প্রায় সবক্ষেত্রেই ওষুধ খাওয়া আমরা অভ্যেসে পরিনত করে ফেলেছি।কিন্তু সাময়িক আরাম পেলেও তার কুপ্রভাব থেকে আমরা আমাদেরকে রক্ষা করতে পারি না।যে ব্যথা উপশমকারী ওষুধ বা অ্যান্টি-বায়োটিক আমরা খাই তা ক্ষুদ্রান্ত্র, যকৃৎ ও কিডনির ক্ষতিসাধন করে।এই ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে গেলে নোনির সেবন একটি অন্যতম উপায়।
  4. বাতের ব্যথা উপশমে ও মাইগ্রেন এর সমস্যায় অ্যামিগো নোনি দারুন কাজ দেয়।এছারাও মারনকারী ক্যান্সার রোগের যন্ত্রণা থেকে আরাম পেতে নোনি সাহায্য করে।
  5. মানসিক চাপ কমাতে নোনির ভূমিকা অতুলনীয়।আধুনিক ব্যস্ত জীবনযাপন ও কর্মশৈলী আমাদের মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে।এর হাত থেকে রক্ষা পেতে অ্যামিগো নোনি এর নিয়মিত ব্যবহার করুন।
  6. বিভিন্ন ধরনের অটো-ইমিউন ডিজিস বা যেসব রোগ প্রায় কমবেশি সকলের মধ্যে বাসা বাধে যেমন- ডায়াবেটিস, বাত, কোলাইটিস (যকৃতের রোগ), লিউপাস (ত্বকের সমস্যা), সোরিয়াসিস (সাধারনত ত্বকে হয়ে থাকে) ইত্যাদির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করতে নোনি আপনাকে সাহায্য করবে।
  7. নোনি ছোট থেকে বড় সবার জন্যই।দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।স্নায়ুঘটিত কিছু রোগের ক্ষেত্রে এটি দারুন কাজ দেয়।এছাড়াও রোগীদের ক্ষেত্রে ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে নোনির গুনাগুন অপরিহার্য।
  8. মানব মস্তিষ্কের ‍বিকাশ, বুদ্ধিবিকাশ ও চিন্তা শক্তির বিকাশে অ্যামিগো নোনি দারুন কাজ দেয়।এছাড়াও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নোনি আপনাকে সাহায্য করবে।
  9. সম্পূর্ণ সুস্থ-সবল, সতেজ, তরতাজা ও রোগমুক্ত থাকার একটাই মন্ত্র - অ্যামিগো নোনির নিয়মিত ব্যবহার।
ব্যবহার প্রণালী:-
                         খালি পেটে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে ১৫০ মি.লি. জলে মিশিয়ে পান করুন।
  • প্রথম ৩ দিন -৫ মি.লি. করে দিনে ২ বার।
  • পরের ৪ থেকে ৭ দিন -১০ মি.লি. করে দিনে ২ বার।
  • এরপর থেকে -১৫ মি.লি. করে দিনে ২ বার।
খুব ভালো উপকার পাওয়ার জন্য প্রতিদিন পান করুন, একটানা ৬ মাস।

( এই প্রবন্ধটি আপনাদের সকলের জন্যই রচিত হয়েছে।আপনার মতামত ও চাহিদা সম্পূর্ণ রূপেই আপনার নিজস্ব; সকলেই যে আপনার সাথে সহমত হবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।এইসকল তথ্যগুলি দিয়ে কখনো কারো রোগের শনাক্তকরনে বা রোগের উপশম নির্ধারনে ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রত্যেকের একবার নির্দিষ্ট ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে নোনির ব্যবহার করা উচিত)।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Sea Buckthorn

  D. P. - 800   সীবকথর্ন  থইরয়েড - সীবাকথর্ন থাইরয়েডের যেকোন সমস্যায় খুব ভালো কাজ দেয়। থাইরয়েড বেশি বা কম থাকলে সেটি নিয়ন্ত্রনের জন্য সীবাকথর্ন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। লিভার - সীবাকথর্ন লিভারের যেকোন সমস্যায় অত্যন্ত উপকারী। সীবাকথর্নে থাকা অর্গানিক অ্যাসিড  (ম্যালিক অ্যাসিড, অক্সালিক অ্যাসিড) লিভারকে টক্সিন, ক্ষতিকারক কেমিক্যালস ও অ্যান্টবায়োটিকের কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং সুস্থ ও সবল লিভার তৈরিতেসাহায্য করে। হার্ট - সীবাকথর্ন হার্টের যেকোন সমস্যায় খুব উপকারী। এটি রক্তের শর্করা কমাতে এবং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নার্ভ - এটি নার্ভের সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে এবং ব্রেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রোষ্টেট - সীবাকথর্ন প্রোষ্টেট ও কোলন হেলথের সমস্যায় খুব কার্যকরী। ওবেসিটি - সীবাকথর্নের মধ্যে থাকা ওমেগা- 7 অতিরিক্ত মেদ কমাতে ও রোগা হতে সাহায্য করে। পাকস্থলী সংক্রান্ত - সীবাকথর্ন গ্যাসট্রিকের সমস্যায় অত্যন্ত উপকারী। এটি হজমের কোন সমস্যায় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে খুব ভালো কাজ করে। আলসার - সীবাকথর্ন আলসার নিরাময়ে দারুন কার্যকরী। শ্বাসপ্রশ্বাস ...